স্টাফ রিপোর্ট
ওমরাহর গুরুত্ব ও ফজিলত, ওমরাহর যথেষ্ট গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব পাপের কাফফারা হয়ে যায় এটি। ওমরাহ দরিদ্রতা ও গুনাহ মুছে ফেলে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এক ওমরাহ অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সবকিছুর কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান জান্নাত। (বুখারি: ১৭৭৩; মুসলিম: ১৩৪৯) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা বারবার হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা, এ দুটো দরিদ্রতা ও গুনাহ সেভাবে মুছে ফেলে, যেভাবে কর্মকারের হাঁপর লোহার ময়লা দূর করে থাকে।’ (নাসায়ি: ২৮৮৭)
রমজান ওমরাহর সেরা সময় রমজান মাসে সৎকর্মের প্রতিদান বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইবাদত-বন্দেগিসহ সব ভালো কাজের প্রতিদান অনেক গুণ বেড়ে যায়। রমজানে ওমরাহ করলে একটি হজের সওয়াব পাওয়া যায়। রমজানের ওমরাহ আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে হজ আদায়ের মর্যাদা রাখে।
সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ আদায় করা ফরজ এবং জীবনে একবার ওমরাহ পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তুলনামূলকভাবে ওমরাহ একটি সহজ ইবাদত। ইহরাম বেঁধে কাবাঘর তাওয়াফ করা এবং সাফা– মারওয়ার মধ্যে সায়ি করার পর মাথা কামিয়ে নিলেই ওমরাহ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তাই সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা উচিত।
পৃথিবীর প্রথম নির্মিত ঘর হলো মসজিদ, যা পবিত্র মক্কা নগরীতে স্থাপিত কাবাঘর হিসেবে পরিচিত। সেটিই মুসলমানদের কিবলা ও হজ-ওমরাহর মূল কেন্দ্র। হজ ও ওমরাহে রয়েছে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের অসংখ্য স্মৃতি। ইবরাহিম (আ.) স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে আল্লাহর হুকুমে মক্কায় রেখে যান। ইসমাইল (আ.) পিতার কাজে সহযোগিতা করার মতো বয়সে পদার্পণ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি কাবাঘর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ আসে। তিনি পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন।