স্টাফ রিপোর্ট।
প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ নেই। নেই তেমন জনসমর্থন ও সম্পৃক্ততা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক কার্যালয় এবং বাসা-বাড়িতে বৈঠকের মাধ্যমে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ ধরে দলের ৮৮টি জেলা, ৪৫০টি থানা, ১০টি মহানগরের অধিকাংশ কার্যালয়ই তালাবদ্ধ। নতুন কর্মী সংগ্রহ অভিযান অব্যহতভাবে চলছে। তবে দলটির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নানা দিক বিবেচনা করে দলীয় নীতি-আদর্শের প্রতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে এক ধরনের অনীহা জন্ম নিয়েছে। ফলে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে কর্মী, সদস্য এবং সমর্থক সবই কমতে শুরু করেছে জামায়াতের।
জানা গেছে, দলটির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে নিজস্ব আয় থেকে প্রতিমাসে একটি অংশ স্বেচ্ছায় দলের তহবিলে জমা দেওয়া। একটা সময়ে অন্তত ৫০ লাখ কর্মী, সমর্থক এবং সদস্য এই চাঁদা দিত। এখন সেই সংখ্যা ২০ লাখ কমে গেছে। কমেছে চাঁদার পরিমাণও।
২০০৮ সালে জামায়াতের স্থায়ী সদস্য বা রুকনের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৮৬৩ জন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেক প্রাপ্ত তথ্য মতে, দলটি নিজেদের কলেবর বড় দেখাতে এবং কর্মী ধরে রাখতে রুকন সদস্য সংখ্যা ৩ গুণ বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৪৬ জন দেখিয়েছে। তবে, একই সময়ে কর্মী সংখ্যা আগের ২ লাখ ২১ হাজার থেকে ৩ গুণ বেড়িয়ে ৬ লাখ ৩৯ হাজার করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে দলটির বিতর্কিত ভূমিকার কারণে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলটির ৫ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড এবং সাজাপ্রাপ্ত আরও ৪ নেতা কারাগারে মারা যান। একইসঙ্গে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আরও ২ শীর্ষ নেতা সাজা ভোগ করছেন।