1. live@bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ : বিশ্ব সংবাদ
  2. info@www.bisshosangbad.com : বিশ্ব সংবাদ :
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দেশব্যাপী হবে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে স্বল্পমূল্যে ওষুধ। চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে। ব্যাংককে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বৈঠক, হাসিনার প্রত্যর্পণসহ যেসব বিষয় আলোচনা হলো। জুলাই-আগস্টের বিচার বানচালে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। মার্চে ২৯৮ ভুল তথ্য প্রচার, বাদ যাননি ড. ইউনূস-সেনাপ্রধান। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া। শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদ। ঈদ উদযাপনে মুমিনের করণীয়। নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাবন্দি ইমরান খান! ১৭ বছর পর মানুষ শান্তিতে-স্বস্তিতে ও নতুন প্রত্যাশায় ঈদ করবে ——–বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী।

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের সম্পদ: প্রশ্রয়দাতা কে?

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্ট।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ছিলেন র‌্যাবের ডিজি। তারও আগে ছিলেন ডিএমপি কমিশনার। টানা বহু বছর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণে অনেক সুনাম ও দুর্নাম কামিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আরেকটি কারণে আলোচনায় রয়েছেন বেনজীর আহমেদ। একজন সাবেক সরকারি চাকরিজীবী হয়েও নিজের এবং স্ত্রী-কন্যাদের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে- সুবিশাল ও চোখ ধাঁধানো রিসোর্ট, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, শত শত বিঘা জমি। এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে বেনজীরের এত সম্পদের উৎস কী? তার প্রশ্রয়দাতা কে?

২০২১ সালের ডিসেম্বরে, বেনজীর আহমেদ আইজিপি থাকাকালীন বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর ৬ কর্মকর্তার ওপর স্যাংশন জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাবের যে সময়ের কর্মকাণ্ডের কারণে এই স্যাংশন আসে, সেই পুরো সময়জুড়েই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ছিলেন বেনজীর আহমেদ। ফলে স্যাংশন ঘোষণার সময় তিনি আইজিপি হওয়া সত্ত্বেও র‌্যাবের সাবেক ডিজি হিসেবে তার নামও সেই তালিকায় ছিল।

ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাবের ডিজি, আইজিপি- গুরুত্বপূর্ণ এই পদগুলোতে ধারাবাহিকভাবে থাকাকালীন তার ক্ষমতার দাপট, নীতি-নৈতিকতা নিয়ে চটকদার কথাবার্তা, আর সেই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে উচ্চারিত হওয়া নানাবিধ স্ক্যান্ডালের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত ছিলেন। অনেকেই অনেক কিছু জানতেন, কিন্তু প্রকাশ্যে উচ্চারণের হয়তো সাহস পেতেন না। তার অবসরগ্রহণের দুই বছর পর সেই প্রকাশ্য উচ্চারণটাই এখন হচ্ছে।

গত ৩১ মার্চ বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় বেনজীর আহমেদ সম্পর্কিত রিপোর্টগুলো প্রথম প্রকাশিত হয়। এই বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে এক সময় বেনজীর আহমেদের সুসম্পর্ক ছিল। বসুন্ধরার এমডি ও সাবেক আইজিপি বেনজীরের ঘনিষ্ঠ ছবিও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যম-সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে। তাহলে এর মধ্যে কী এমন হলো যে, একজনের বিরুদ্ধে অপরজনকে এরকম জেহাদ ঘোষণা করতে হবে?

কালের কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় সেদিন বেনজীরের দুর্নীতি বিষয়ক বেশ কয়েকটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। রিপোর্টগুলোর বিষয়বস্তু, প্রকাশভঙ্গি, ট্রিটমেন্ট—ইত্যাদি দেখে মনে হয়েছে এসব কেবল সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তের প্রতিফলনই নয়। এসবের পেছনে নিশ্চয়ই মালিকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বড় কোনো বিষয় রয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়াগুলোকে দেখা যাচ্ছে রংধনু গ্রুপের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে। বসুন্ধরার মতো রংধনু গ্রুপও একই ধরনের ব্যবসায়, প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের বাণিজ্য করে। এক সময় তারা পরস্পরের সহযোগী ছিল। কিন্তু স্বার্থের দ্বন্দ্বে এখন রীতিমত দা-কুমড়া সম্পর্ক। রংধনু গ্রুপ আবার কিছুদিন হলো মিডিয়া ব্যবসায় নেমেছে। প্রতিদিনের বাংলাদেশ নামে একটা দৈনিক পত্রিকা, গ্রিন টিভি নামে একটা টেলিভিশনও আছে তাদের। সম্পর্ক মন্দ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই গ্রুপই যার যার মিডিয়াগুলোতে প্রতিপক্ষকে নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচারণাও চালাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।

বেনজীর আহমেদ আইজিপি ছিলেন, তখন থেকেই তিনি রংধনু গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন বলে প্রচারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন বসুন্ধরা ও রংধনু গ্রুপের বহুল চর্চিত সেই দ্বন্দ্বেরই চরম প্রকাশ হচ্ছে এই ৩১ মার্চের রিপোর্ট। বসুন্ধরা গ্রুপ হয়তো মনে করেছে, বেনজীরের মাধ্যমেই রংধনু গ্রুপ সরকার ও প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাচ্ছে। তাই তারা রণকৌশল হিসেবে আক্রমণের লক্ষ্য করেছে বেনজীর আহমেদকেই।

দুই ব্যবসায়িক গ্রুপের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হলেও এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে নগ্ন হয়ে গেছে সমাজের প্রভাবশালী শ্রেণির কুৎসিত চেহারাটা।

একজন সরকারি চাকরিজীবী, যার মাসিক বেতন এক লাখ টাকাও নয়, তিনি কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন? ১৪০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল রিসোর্ট, স্ত্রী-কন্যাদের নামে পূর্বাচলের সম্পত্তি, গুলশানের রাজকীয় আবাসস্থল, গাজীপুরে রিসোর্ট, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য যে অর্থ বেনজীর আহমেদ ব্যয় করেছেন, তার উৎস কী? কে তাকে প্রশ্রয় দিয়েছে? এসব প্রশ্নই ঘুরছে সবখানে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট